আলমগীর কবীর:
গাজীপুর মেট্রোপলিটন গাছা থানা এলাকায় ২০দিনের মধ্যে পরপর দুটি শিশু সন্তান অপহরণের ঘটনায় পুরো এলাকায় আতংকের সৃষ্টি হয়েছিল ।অপহরণের পর থেকেই জীবিত উদ্ধারের প্রানপণ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছিল,পুলিশ ও পিবিআই কিন্তু জীবিত উদ্ধার করতে পারেননি তারা ।আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ,ততক্ষনে দুই মায়ের বুক খালি ।
শিশু দুটিকে অপহরণের পর হত্যা করেছে অপহরণকারীরা। একটি শিশুর লাশ ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপর শিশুটির লাশ উদ্ধারের অভিযান চলছে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার বরাত দিয়ে রোববার জিএমপি গাছা থানায় এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ।সংবাদ সম্মেলনে দুটি অপহরণ ঘটনার বর্ণনা গণমাধ্যমে তুলে ধরে পুলিশ। অপহরণে জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে তারা সংঘবদ্ধ চক্র। গ্রেফতারকৃতরা হলেন আলী আকবর (২৪),সে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানার পুটিয়া গ্রামের মৃত আলী জব্বার সর্দারের ছেলে । অপর আসামী আনোয়ার হোসেনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জিএমপি উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ জানান,গত ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল সোয় ১১ টায় তিন বছরের ছেলে শিশু নিহাদ অপহরণ হয়।নিহাদের মা নার্গিস সততা মিনি সোয়েটার নামের একটি সাব-কন্টাক পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ঘটনার সময় নিহাদ ওই কারখানার গেটে খেলা করছিল,এসময় সেখান থেকে অপহৃত হয়। এ ঘটনায় অপহৃত শিশুর বাবা গার্মেন্টস শ্রমিক হানিফ আলী গাছা থানায় মামলা করেন। এর পর শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ। ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে অপহরনকারীকে দেখা গেলেও তাকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। অবশেষে অপহরণের তিন দিন পর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি২০২১ইং রাজধানীর শ্যামপুর থানাধীন তিনতালা বিল্ডিংয়ের পানির ট্যাংকির ভেতর থেকে বিভৎস অবস্থায় নিহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
অপর দিকে নিহাদের ঘটনার লেশ কাটতে না কাটতেই গত ৯ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টায় গাছা থানাধীন পূর্ব কলমেশ্বর এ্যারাইভ্যাল গার্মেন্টসের সংলগ্ন গায়েনবাড়ী এলাকা হতে সুমাইয়া আক্তার সুমু ওরফে রুবা নামে দুই বছর আট মাসের শিশু অপহৃত হয়। অপহরণকারীরা শিশু রুবার বাবার কাছে মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবী করে। এ ঘটনায় গাছা থানায় আর একটি অপহরণ মামলা হয়। এ দুটি অপহরণের ঘটনায় টনক নড়ে জিএমপি পুলিশের।নিহাদের ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত আসামী আকবরের দেয়া তথ্যে তারই খালাতো ভাই আনোয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা দুটি অপহরণের দায় স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয়। আনোয়ার ও আকবর জানায় শিশু রুবাকে মেরে বস্তায় ভরে তুরাগের শাখা বালু নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
অপহরণে জড়িত দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের সদস্য বলে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন আলী আকবর (২৪)। সে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ থানার পুটিয়া গ্রামের মৃত আলী জব্বার সর্দারের ছেলে, অপর আসামী আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে জিএমপি‘র উপ পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইলতুৎ মিশ জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল সোয় ১১ টায় তিন বছরের ছেলে শিশু নিহাদ অপহরণ হয়। নিহাদের মা নার্গিস সততা মিনি সোয়েটার নামের একটি সাব-কন্টাক কারখানায় চাকরি করেন। ঘটনার সময় নিহাদ ওই কারখানার গেটে খেলা করছিল। এসময় সেখান থেকে অপরণের শিকার হয়। এ ঘটনায় অপহৃত শিশুর বাবা গার্মেটন্ট শ্রমিক হানিফ আলী গাছা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। এদিকে গত ৯ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টায় গাছা থানাধীন পূর্ব কলমেশ্বর এ্যারাইভ্যাল গার্মেন্টস এর পেছন হতে সুমাইয়া আক্তার সুমু ওরফে রুবা নামে দুই বছর আট মাসের শিশু অপহৃত হয়। অপহরণকারীরা শিশু রুবার বাবার কাছে মোবাইল ফোনে ৫ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবী করে।
এ ঘটনায়ও গাছা থানায় পৃথক আর একটি অপহরণ মামলা হয়। এ দুটি অপহরণের ঘটনায় টনক নড়ে জিএমপি পুলিশের। অবশেষে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপহরণকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য আকবরকে প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃত আসামী আকবরের দেয়া তথ্যে তারই খালাতো ভাই আনোয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা দুটি অপহরণের দায় স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয়। আনোয়ার ও আকবর জানায় শিশু রুবাকে মেরে বস্তায় ভরে তুরাগের শাখা বালু নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে শিশু নিহাদের হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে তারা দুটি শিশুর জামা-কাপড়ের সন্ধান দেয়। শিশু দুটির পরিবারকে এসব জামা-কাপড় দেখিয়ে অভিনব কাযদায় তারা মুক্তিপণ আদায় করার পরিকল্পনা করছিল বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। জিএমপি‘র ডিসি ইলতুৎ মিশ জানান,তারা রুবার লাশ এখনো খোঁজে পাননি। লাশটি উদ্ধারের জন্য দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় বালু নদীতে তল্লাশি চলছে। সংবাদ সম্মেলনে আরোও উপস্থিত ছিলেন,এডিসি-অপরাধ(দক্ষিণ) হাসিবুল আলম,গাছা জোনের এসি আহসানুল হক,গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইসমাইল হোসেনসহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা ।